1. rajubdnews@gmail.com : 24jibonnews : admin
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ:
নোয়াখালীতে অর্থনৈতিক অসমতা অবসান ও সুবিচার শীর্ষক নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ভিশনের উদ্যোগে কমিউনিটি নেতা ও যুব ফোরাম এবং স্থানীয় স্টেকহোল্ডারদের সাথে ওরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গীর রবিউল ১৬ বছর পর বাড়ী ফিরবেন ! নরসিংদীর বেলাব থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার ঝাউডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় ঋত্বিকা নামে শিশুর মৃত্যু পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে ১০ ফিলিস্তিনি নিহত ইরানের হামাদান প্রদেশের কাবুদারাহাং শহরে সামরিক বিমান বিধ্বস্ত চরম আকার ধারণ করেছে শিল্পের গ্যাস সংকট ওষুধ শিল্পের ওপর নতুন করে আরোপিত কর প্রত্যাহার পাবনা জেলা জিয়া সাইবার ফোর্স এর ৩১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্নাঙ্গ কমিটি অনুমোদন

ভোটে অযোগ্য করার নীলনকশা চলছে : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া

প্রতিনিধির নাম :
  • আপডেট এর সময় : শুক্রবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৭

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে আমাকে সরাতে এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার জন্য “নীলনকশা” প্রণয়ন করছে সরকার। তারই অংশ হিসেবে আমার বিরুদ্ধে এই মামলা দেওয়া হয়েছে।
ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী ও নেতারা হুমকি দিচ্ছেন, আমাকে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে বিদায় করে দেওয়া হবে। মামলা শেষ হওয়ার আগেই বিচার নিয়ে কথা বলছেন, মুখে মুখে রায় দিয়ে দিচ্ছেন তারা। এসব বক্তব্য আদালত অবমাননার শামিল। তারা বলছেন যে, এই মামলায় আমার সাজা হয়ে যাবে। আমাকে কাশিমপুর কারাগারে রাখা হবে। এতে আমার আশঙ্কা হচ্ছে, আমি এই মামলায় আদৌ ন্যায়বিচার পাব না। ’ গতকাল রাজধানীর বকশীবাজারে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে দেওয়া বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসন এসব কথা বলেন। বেলা ১১টার দিকে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের বিশেষ আদালতের এজলাসে পৌঁছান। এর আগে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে তিনি তার গুলশানের বাসা থেকে রওনা দেন। আদালতে হাজিরা দেওয়ার পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার স্থায়ী জামিনের জন্য আবেদন করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, অ্যাডভোকেট আবদুর রেজ্জাক খান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার প্রমুখ। শুনানি শেষে স্থায়ী জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে বিচারক ড. আখতারুজ্জামান বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, ‘ম্যাডাম! আপনি যেমন আছেন তেমনি থাকবেন। ’ এরপর স্থায়ী জামিন না দিয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেন তিনি। বিএনপি নেতাদের মধ্যে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, জয়নুল আবদিন ফারুক, ফজলুল হক মিলন, শহিদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, নাজিমউদ্দিন আলম, আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ প্রমুখ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আত্মপক্ষ সমর্থনের তৃতীয় দিনে প্রায় ২০ মিনিটের বক্তব্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়া বলেন, ‘আমার মাঝেমধ্যে মনে হয়, শেখ হাসিনার কাছে জাদুর কাঠি আছে। সেই জাদুর কাঠির ছোঁয়ায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়ম-চাঁদাবাজিসহ সব মামলা সরকারে আসার পর উঠে গেছে অথবা খারিজ হয়ে গেছে। আমাদের হাতে তেমন কোনো জাদুর কাঠি না থাকায় আমাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো সচল হয়েছে, রকেটের গতিবেগ পেয়েছে। এমনকি আরও নতুন নতুন মামলা হয়েছে। ’

এর আগে খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবীরা তাকে স্থায়ী জামিন দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়ে বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির শীর্ষনেত্রী। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ ও বয়স্ক নারী। এই বিবেচনায় তিনি স্থায়ী জামিন পেতে পারেন। অন্যদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। দুদকের আইনজীবী বলেন, খালেদা জিয়া জামিনের অপব্যবহার করেছেন। কাজেই তাকে স্থায়ী জামিন দেওয়া উচিত নয়। শুনানি শেষে আদালত বলেন, জামিন স্থায়ী হবে না। বিচারক বেগম জিয়ার উদ্দেশে বলেন, ‘ম্যাডাম! আপনি যেমন আছেন তেমন থাকবেন। ’ এরপর পরবর্তী শুনানির জন্য ৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেন বিচারক। এ ছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এই আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে তা পরিবর্তনের জন্য হাই কোর্টে করা আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম মুলতবি রাখার আবেদন করেন। আদালত সে আবেদনও নাকচ করে দেয়। আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য শেষে খালেদা জিয়া আদালত মুলতবি রাখার প্রার্থনা করেন। পরে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে তিনি আদালত ত্যাগ করেন। বিএনপিপ্রধান তার বক্তব্যে বলেন, ‘দায়িত্ব পালনকালে জনগণের মৌলিক মানবিক অধিকার এবং বিচার বিভাগ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছি। আমি বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্বও পালন করেছি। দেশকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে নিরলস প্রয়াসে কখনো বিরতি দিইনি। ’

এ সময় আদালতের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার জবানবন্দিকালে নিজেকে আইন ও বিচারের ঊর্ধ্বে মনে করি না। আমি শুধু এটুকু বলতে চাই যে, একই ধরনের মামলায় অভিযুক্ত হয়েও আরেকজন নেত্রী যেসব সুবিধা ভোগ করেছেন, আমি কখনো আদালতের কাছে তেমন সুবিধা দাবি করিনি। আমি দেশের একজন সাধারণ সিনিয়র সিটিজেনের প্রাপ্য অধিকারটুকু পেলেই খুশি। আইনসম্মতভাবে ন্যায়বিচার ছাড়া আদালতের কাছে আমার চাইবার আর কিছু নেই। আত্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে আমি এসব কথা বলছি না। আমার এই অবস্থান, ভূমিকার বিনিময়ে বাড়তি কোনো সুবিধা বা মর্যাদা দাবি করার কোনো অভিপ্রায়ও আমার নেই। ’ বিএনপি চেয়ারপারসন আরও বলেন, ‘আজ আমার প্রতি যে ধরনের আচরণ করা হচ্ছে তা আমার অবস্থান ও ভূমিকার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা এবং এর মাধ্যমে আমার প্রতি কোনো বৈষম্য করা হচ্ছ কিনা, তাও আদালতের বিবেচনার বিষয়। ’ খালেদা জিয়া আরও বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মামলাগুলো একের পর এক সচল হয়েছে ও গতিবেগ পেয়েছে। হয়েছে নতুন নতুন আরও মামলা। দেশে কত গুরুত্বপূর্ণ মামলা বছরের পর বছর ধরে চলছে। কত মামলা ঝুলে আছে। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে মামলাগুলো পেয়েছে রকেটের গতি। যেন কেউ পেছন থেকে তাড়া করছে, শিগিগর শেষ করো। তড়িঘড়ি করে একটা রায় দিয়ে দাও বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। কেন, কোন উদ্দেশ্যে এবং কীসের জন্য এত তাড়াহুড়া? এই তাড়াহুড়ায় কি ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে? নাকি ন্যায়বিচারের কবর রচিত হবে?’ তিনি বলেন, ‘আমাদের হাতে জাদুর কাঠি থাকলেও আমরা বলতাম না মামলা প্রত্যাহার করুন। আমরা ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করতাম। এখনো আদালতের কাছে কেবল ন্যায়বিচারই প্রত্যাশা করছি। আশা করি, সকল প্রভাবের ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের প্রতি আইন অনুযায়ী ন্যায়বিচার করা হবে। ন্যায়বিচারের কথা জোর দিয়ে এত বার বার আমি বলছি, এর কারণ আছে। কারণটা হলো, ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে কিনা সে ব্যাপারে দেশবাসীর গভীর সন্দেহ রয়েছে। আমরাও শঙ্কিত। তা ছাড়া বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট, মতামত ও বিশ্লেষণ প্রকাশিত হয়েছে। সরকারের উচ্চ মহলের কার্যকলাপ, তৎপরতা এবং বক্তব্য-বিবৃতি থেকে তা স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়। ’ তিনি বলেন, ‘আদালত-প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রীদের অনেক সদস্য এবং শাসক দলের অনেক নেতা আমাকে দোষী সাব্যস্ত করে বক্তব্য দিয়েছেন। আমাকে অভিযুক্ত করে বিরূপ প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা এসব মামলার রায় কী হবে, তা আগাম জানেন। ’

পোস্টটি আপনার স্যোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © জীবন নিউজ ২৪ ডট কম
Theme Customized BY LatestNews