পঙ্গু হাসপাতালে ৪জনের একটি সিন্ডিকেট (১) আবুল কালাম আজাদ, (২) মোঃ সেলিম, (৩) মোঃ সফিক ও (৪) কায়দুল আজাদ দীর্ঘদিন যাবত রোগীদের জিম্মি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা
স্টাফ রিপোর্টার : গতকাল সকাল ১১টায় বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস্ এন্ড প্রেস সোসাইটির আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পঙ্গু হাসপাতালে সীমাহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস্ এন্ড প্রেস সোসাইটির সহ-সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক আমেনা আক্তার, সাংবাদিক নূরুল ইসলাম, সাংবাদিক রুবেল মোল্লা, সাংবাদিক মেহেদী হাসান, মুজাহিদ প্রমূখ। উক্ত মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, পঙ্গু হাসপাতালে ৪জনের একটি সিন্ডিকেট যারা দীর্ঘদিন যাবত রোগীদের জিম্মি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। সিন্ডিকেটের ৪জনের হলো- আবুল কালাম আজাদ, মোঃ সেলিম, মোঃ সফিক ও কায়দুল আজাদ। তারা আরো বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মূমুর্ষ রোগীরা আসে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য। কিন্তু মূমুর্ষ রোগীরা এখানে এসে প্রায় সময়ই প্রতারণার শিকার হয়। হাসপাতালের একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মূমুর্ষ রোগীদেরকে উন্নত চিকিৎসার নাম করে এবং বিভিন্ন কৌশলে রোগীদের সাথে আসা লোকজনদের নিকট থেকে হাতিয়ে নেয় হাজার হাজার টাকা। যেমন অনেক রোগীদের হাতে ও পায়ে লোহার যন্ত্রপাতি লাগানোর নাম ভাঙ্গিয়ে (ফিজির্টাল রড) প্রতি রোগীদের নিকট থেকে প্রায় ৫০০০/৬০০০ টাকা করে আদায় করে নেয়। প্রকৃত পক্ষে যার মূল্য ১৫০০/- টাকা। অতিরিক্ত টাকা আদায় করে নেয়ার কোন রশিদ দেয়া হয় না। গত পহেলা অক্টোবর ঢাকা সাভার থেকে আসা আব্দুস সোবাহান ও তার ছেলে হাসনাত মূমুর্ষ অবস্থায় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হয় চিকিৎসার জন্য। তাদের পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি রেজি নং- ১৪৬৮৭৯/২০১৯ইং ইউনিট ইয়োলো (১) ই/আর ওয়ার্ড বেড নং-০৯। তাদের কাছ থেকে হাসপাতালের একটি প্রতারক চক্র কৌশলে হাতিয়ে নেয় কয়েক হাজার টাকা। এ ব্যপারে আব্দুস সোবাহানের স্ত্রী সাথী আক্তার হাসপাতালের পরিচালকের বরাবরে গত ১৬ই অক্টোবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। যা হাসপাতালে গ্রহণ করা স্মারক নং-৫৬৮৮। পরবর্তীতে হাসপাতালের প্রতারক চক্রটি অভিযোগকারী সাথী আক্তারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার স্বামী ও ছেলেকে হাসপাতাল থেকে কৌশলে রিলিজ করিয়ে দেয়। আরো খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পঙ্গু হাসপাতালের কর্মচারী আবুল কালাম আজাদ, মোঃ সেলিম, মোঃ শফিক ও কায়রুল আজাদ এদের মাধ্যমে নামমাত্র একটি কোম্পানী নি¤œমানের ফিজির্টাল রড যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে থাকে। উক্ত ব্যক্তিরা অবৈধভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। তাদের বিরুদ্ধে উক্ত ঘটনাসহ অনেক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। কোন ভুক্তভোগী তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে, প্রতিবাদকারীর উপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ ও হাসপাতালের পরিচালকের বরাবরে অভিযোগ করার পরও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নি।
বক্তরা এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।