পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সব গার্মেন্টস শ্রমিকের একসঙ্গে ছুটি হলে সারাদেশের যোগাযোগব্যবস্থায় সমস্যা হবে। সেজন্য বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে শিল্প মালিকরা অঞ্চলভিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করবেন। যে অঞ্চলের মালিকরা শ্রমিকদের আগে ছুটি দেবেন তাদেরকে আগেই উৎসবভাতা পরিশোধ করতে হবে। অর্থাৎ বাড়ি যাওয়ার আগেই শ্রমিকদের উৎসব ভাতা দিয়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে যেসব গার্মেন্টসে ছুটি পরে দেয়া হবে তাদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৪ জুনের মধ্যে উৎসবভাতা পরিশোধ করতে হবে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে গার্মেন্টসের ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভা শেষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। সভায় বিজিএমই, বিকেএমইসহ মালিক এবং শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ঈদ মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব। সেই উৎসব যাতে আমাদের শ্রমিক ভাইয়েরা পরিবারের সঙ্গে ভালোভাবে কাটাতে পারেন সেই লক্ষ্যে সরকার, মালিক এবং শ্রমিক মিলে ত্রিপক্ষীয় মিটিং করেছি। আমরা তাদেরকে (মালিক পক্ষ) অনুরোধ করেছি যে, মে মাসের বেতন শ্রম আইন অনুযায়ী পরবর্তী মাসের সাত কর্মদিবসের মধ্যে দিয়ে দিতে হয়। এটা যাতে তারা দিয়ে দেয়। যদিও এটা তারা দিয়ে দেয় তারপরেও আমরা বলেছি। এরসাথে উৎসব ভাতা যাতে দিয়ে দেন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, সভায় আরও একটি বিষয় উঠে আসে। সেটা হলো, ঈদ হচ্ছে মাসের মাঝামাঝি। তাই ঈদের আগে যে কয়দিন শ্রমিকরা কাজ করবেন সে কয়েকদিনের বেতনের বিষয়ে। তবে মাস শেষ হওয়া ছাড়াতো মালিক পক্ষের বেতন দেয়া সম্ভব নয়। কোনো মালিকের যদি সম্ভব হয়, এ কয়েকদিনের বেতন দিয়ে দেবে, তাহলে
সেটা তাদের বিষয়। কিন্তু এটা মালিকপক্ষের জন্য বাধ্যতামূলক নয়।
চুন্নু বলেন, ঈদে বাড়ি যাওয়ার আগে অনেক সময় দেখা যায়, শ্রমিকরা ছিনতাইয়ের শিকার হন। এ বিষয়ে পুলিশ-প্রশাসন যেন সতর্ক থাকে এবং শ্রমিকদের বিষয়ে যে মন্ত্রণালয়ের যে কাজ তা যেন ঠিকভাবে করা হয় সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।