নিষিদ্ধ ঘোষিত ভার্চুয়াল মুদ্রা বিটকয়েন বিক্রির অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।
সংস্থাটির অর্গানইজড ক্রাইমের ইকোনোমিক ক্রাইম ও এসটিজি ইউনিটের অভিযানে ধরা পড়া জাকারিয়া সরকারকে বিটকয়েন বিক্রি চক্রের মূল হোতা বলে দাবি করেছে সিআইডি।
সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা জানানো হয়। এতে জানানো হয়, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলা গার্ডেন সিটি থেকে জাকারিয়াকে ধরা হয়েছে গত ১৬ মে। এ সময় তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, দুটি ডেস্কটপ ও তিনটি পেনড্রাইভ জব্দ করা হয়।
সিআইডি জানায় বিটিসি, নেটেলার, স্ক্রিলসহ বিভিন্ন অনলাইন ওয়ালেট থেকে বিটকয়েনের মতো নিষিদ্ধ ঘোষিত ভার্চুয়াল মুদ্রা অবৈধভাবে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে এনে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে ক্রয়-বিক্রয় করে আসছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র।
জব্দ করা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায় সেখানে কয়েন বেজ, নেটেলার নামক অ্যপ্লিকেশন ইনস্টল করা আছে। এতে অবৈধভাবে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে এনে উভয় একাউন্টে বা ওয়ালেটে প্রচুর পরিমাণ ভার্চুয়াল মূদ্রা এবং বিটকয়েন, নেটেলার স্ক্রিল ডলার লেনদেনের তথ্য রয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে দেখা যায়, জাকারিয়া ও তার সহযোগীরা গড়ে প্রতিদিন দেড় থেকে দুই হাজার ডলার অবৈধভাবে লেনদেন করতেন। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের দুইটি ধারায় মোহাম্মদপুর থানায় বৃহস্পতিবার একটি মামলা করা হয়েছে।
২০১৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বিট কয়েন নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে নিষিদ্ধ হলেও এর ব্যবহার থেমে থাকেনি।
গত ২৭ ডিসেম্বর বিটকয়েন নিয়ে আবার সতর্কতা জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে বলা হয়, বিটকয়েন পৃথিবীর কোনও দেশেরও স্বীকৃত বা বৈধ মুদ্রা নয়। এ ধরনের মুদ্রায় লেনদেন ঝুঁকিপূর্ণ। এই মুদ্রার লেনদেনে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটের এ সংক্রান্ত একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে দেশে বিটকয়েনের লেনদেন হচ্ছে, যা কোনও নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত নয়। ফলে মানুষের আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
বিট কয়েন ব্যবহার করলে মানি লন্ডারিং ছাড়াও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সম্পর্কিত আইনেরও লঙ্ঘন হতে পারে বলেও সতর্ক করে বাংলাদেশ ব্যাংক।