তামিম ইকবাল যখন ব্যাটিং করতে নেমেছেন ততক্ষণে দলের স্কোর হয়ে গেছে ৩ উইকেটে ১০৩। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করতে নেমেছেন তামিম। দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে নামার অভিজ্ঞতাও তাঁর প্রথম। আজ সেটি সামাল দেওয়ার কাজটা খারাপও করেননি। তামিমের অপরাজিত ২২ আর মুমিনুল হকের ২৮ রান আশা দিচ্ছে বাংলাদেশকে। দিন শেষে বাংলাদেশের রান ৩৪ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১২৭। বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে এখনও ৩৬৯ রান।
যে উইকেটটি ছিল প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের জন্য পুরোপুরি ব্যাটিং উইকেট। বাংলাদেশের বোলাররা যে উইকেটে কোনো ক্যারিশমাই দেখাতে পারেননি, সে উইকেটেই যখন বাংলাদেশ ব্যাট করতে নামলো, তখন সেটা হয়ে গেলো বোলিং উইকেট।
দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস এবং তামিমের পরিবর্তে মাঠে নামা লিটন কুমার দাস শুরুতেই বাংলাদেশকে বিপদে ফেলে ফিরে গেলেন। দলীয় ১৬ রানে ৭ রান করে আউট হলেন ইমরুল কায়েস। এরপর ব্যাক্তিগত ২৫ রানে, দলীয় ৩৬ রানে আউট হলেন লিটন।
এ দুজন আউট হওয়ার পর ভালোই জুটি বাধলেন মুমিনুল হক এবং মুশফিকুর রহীম। দু’জন মিলে গড়লেন ৬৭ রানের জুটি। ইমরুল-লিটনের দ্রুত বিদায়ের পর সবাই ভেবেছিল, মুমিনুল আর মুশফিক মিলে হয়তো একটা স্থিতাবস্থা নিয়ে আসতে পারবেন। কিন্তু সেটা সম্ভব হলো না আর। স্পিনার কেশাব মাহারাজের বলে ফরোয়ার্ড শট লেগে এইডেন মার্করামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মুশফিক। ৫৭ বল খেলে তিনি করেন ৪৪ রান।